করিয়া ফার্গুসন্ সন্ধ্যার পূর্ব্বে একটি মুক্ত প্রান্তর মধ্যে নোঙ্গর করিলেন।
পরদিন যখন তাঁহারা মোসেইয়া নগরের নিকটবর্ত্তী হইলেন, তখন প্রভাত হইয়াছে।
দুইটি উচ্চ পর্ব্বতের মধ্যে মোসেইয়া নগর অবস্থিত! একদিকে কানন ও অপর দিকে কর্দ্দমপূর্ণ বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র। এতদুভয়ের মধ্য দিয়া মোসেইয়া নগর প্রবেশের একটি মাত্র পথ ছিল। মোসেইয়ার প্রধান শেখ তখন সদলবলে সেই পথে নগরে প্রবেশ করিতেছিলেন। তাঁহার শরীররক্ষক অশ্বারোহিগণ নানা বর্ণে সুরঞ্জিত পরিচ্ছদ পরিধানপূর্ব্বক অগ্রবর্ত্তী হুইয়াছিল। তাহাদিগের পুরোভাগে একদল বাদক বংশীবাদন করিতে করিতে যাইতেছিল। বংশীবাদকদিগের অগ্রে আর একদল শস্ত্রধারী পুরুষ পথিপার্শ্বে অবস্থিত বৃক্ষাদির শাখাপ্রশাখা কাটিয়া পথ পরিষ্কার করিতে করিতে চলিয়াছিল।
এই শোভাযাত্রা দেখিবার জন্য ফার্গুসন্ অনেকটা নীচে নামিলেন। নিগ্রোগণ যখন দেখিল যে, বেলুনটি ক্রমেই বৃহদাকার হইতেছে, তখন ভয়ে পলায়ন করিল! শেখ নড়িলেন না। তাঁহার সুদীর্ঘ বন্দুকে গুলি পূরিয়া স্থিরভাবে অবস্থান করিলেন।
ফার্গুসন্ ১৫০ ফিট উপরে থাকিয়া আরব্য ভাষায় শেখকে অভিনন্দন করিলেন। স্বর্গ হইতে আহ্বান-ধ্বনি আসিতেছে শুনিয়া, শেখ সসম্ভ্রমে আপন অশ্ব হইতে অবতরণ করিলেন এবং ভূলুণ্ঠিত হইয়া প্রণাম করিলেন।