অদূরে একটী নগর দেখিয়া জো বলিল—“ওই যে নগর দেখা যাচ্ছে, ওর নাম কি?”
“ওটা কান্যাক্। এই খানেই হতভাগ্য পর্য্যটক টুলির বলি হয়েছিল! এ দেশকে য়ুরোপের সমাধিক্ষেত্র বল্লেও চলে।”
বেলুন কার্ন্যাকের উপর আসিল। পর্য্যটকগণ দেখিলেন, নিগ্রো তন্তুবায়গণ বৃক্ষশাখায় নবনির্ম্মিত বস্ত্র ঝুলাইয়া পিটিতেছে। নগরের বিস্তৃত রাজপথ এবং পথিপার্শ্বে নাগরিকদিগের শ্রেণীবদ্ধ গৃহাদি বেশ সুস্পষ্ট দেখা যাইতেছিল। একটী স্থানে দাসগণ বিক্রীত হইতেছিল। বেলুন দেখিয়া নিগ্রোগণ বিকট চীৎকার করিয়া উঠিল এবং পরক্ষণেই পলায়ন করিল।
ফার্গুসন্ আরো নিম্নে বেলুন নামাইলেন। দেখিলেন, নগরকোতোয়াল একটি নীল পতাকা হস্তে গৃহের বাহিরে আসিলেন। বাদকগণ ভীমনাদে বাদ্য করিতে লাগিল। শিঙ্গার শব্দে দিঙ্মণ্ডল প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। কতকগুলি নিগ্রো আসিয়া তাঁহাকে ঘিরিয়া দণ্ডায়মান হইল। নাগরিকদিগের ললাট উচ্চ, কেশদাম কুঞ্চিত, নাসিকা সুদীর্ঘ। তাহাদিগকে দেখিয়া বুদ্ধিমান্ এবং গর্ব্বিত বলিয়া মনে হইতে লাগিল। দেখা গেল, সৈন্যসমাবেশ হইতেছে। ফার্গুসন্ বুঝিলেন, বেলুনের সঙ্গে যুদ্ধ করাই তাহাদের উদ্দেশ্য।
জো নানা বর্ণের রুমাল লইয়া নানা ভাবে নাড়িতে লাগিল। তাহার ইচ্ছা সঙ্কেতে সন্ধির প্রস্তাব করে। উহারা সে সঙ্কেত বুঝিল না। কান্যাক-কর্ত্তা সমবেত জনমণ্ডলীকে কি যেন