সে রজনী সেইখানে কাটিয়া গেল।
প্রভাতে ফার্গুসন্ বলিলেন—“কেমন করে’ জো’র সন্ধান করতে হ’বে, তা’ আমি ভেবে ঠিক করেছি।”
“কি করতে চাও?”
“আমরা যে কোথায় আছি, আগে সেইটা তাকে জানিয়ে দিতে হ’বে।”
“তা হ’লে ত ভালই হয়। আমাদের না দেখে সে হয় ত ভাবতে পারে, আমরা তাকে মৃত মনে করে’ ছেড়ে চলে গেছি।”
“এমন কথা সে ভাববে না, ডিক্। জো আমাদের খুব ভাল জানে।”
“কেমন করে’ তাকে জানাবে?”
“বেলুনে উঠে উড়বো।”
“যদি বাতাসে ঠেলে নিয়ে যায়!”
“অন্যদিকে নিবে না। দেখছ না, বাতাসটা হ্রদের দিকেই বয়ে যাচ্ছে। আমরা সারা দিন হ্রদের উপরেই থাকবো। তা’ হ’লে জো নিশ্চয়ই দেখতে পাবে। সে যে কোথায় আছে, তাও আমাদের জানিয়ে দিতে পারবে।”
“যদি সে বন্দী হ’য়ে থাকে?”
“তা’ হ’লেও পারবে। এ দেশে বন্দীদের আবদ্ধ করে’ রাখে না। যেমন করে’ই হোক, আমরা জো’র সন্ধান না করে ফিরবো না।”
নোঙ্গর তুলিয়া তাঁহারা জো’র সন্ধানে বাহির হইলেন।