ফার্গুসন্ বেলুনকে ভূমি হইতে অল্প উপরে রাখিলেন; কেনেডি মধ্যে মধ্যে বন্দুক আওয়াজ করিতে লাগিলেন। যখন দ্বীপের নিকটবর্ত্তী হইলেন, তখন এত নিম্নে নামিলেন যে, দ্বীপের ক্ষুদ্র ঝোপ পর্য্যন্ত বেলুন স্পর্শ করিতে লাগিল। এইরূপে তাঁহারা কত কানন কত প্রান্তর কত শৈলগুহা সন্ধান করিলেন, কিন্তু জো’র দেখা মিলিল না!
এইভাবে দুই ঘণ্টা গেল। কেনেডি বলিলেন—
“এদিকে আর খুঁজে ফল নাই।”
“অধৈর্য্য হ’য়ো না, ডিক্। যেখানে জো পড়েছিল, আমরা সেখান থেকে বড় বেশী দূরে নাই।”
বেলা ১১টার সময় দেখা গেল, বেলুন প্রায় ৯০ মাইল পথ অতিক্রম করিয়াছে। তখন বাতাস অপেক্ষাকৃত বেগে বহিতেছিল। বেলুন সেই পবন-প্রবাহে ফারম-নামক দ্বীপের নিকটবর্ত্তী হইল। তাঁহাদের ভরসা ছিল, জো নিশ্চয়ই কোন ঝোপের অন্তরালে লুকাইয়া রহিয়াছে, বেলুন দেখিবামাত্র দৌড়াইয়া, আসিবে।
হায় দুরাশা!
বেলা ২টা বাজিল। বাতাসের গতি তখনো ফিরিল না দেখিয়া ফার্গুসন চিন্তিত হইলেন। আবার কি তবে বেলুন সেই ভীষণ মরুমধ্যে চলিয়া যাইবে, তবেই ত সর্বনাশ!
ফার্গুসন বলিলেন—
“কেনেডি, আর আমাদের অগ্রসর হওয়া উচিত নয়।