কোথও নেমে বিপরীত বাতাসের জন্য অপেক্ষা করাই উচিত। পুনরায় যাতে হ্রদে ফিরে যেতে পারি, তাই করতে হ’বে।”
ক্রমে উপরে উঠিতে উঠিতে ভিক্টোরিয়া যখন ভূমি হইতে প্রায় সহস্র ফিট উপরে উঠিল, তখন ফার্গুসন্ দেখিলেন, উত্তরপশ্চিমগামী বায়ুস্রোত প্রবল বেগে বহিতেছে। বেলুন সেই বাতাসে ভাসিয়া যাইতে লাগিল।
জোর কোন সন্ধানই পাওয়া গেল না।
রজনী সমাগমে একস্থানে নোঙ্গর করিয়া তাঁহারা প্রভাতের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। নিরাশায় বুক ভাঙ্গিয়া গেল। চক্ষু ফাটিয়া ঝর ঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল। দুই বন্ধু সমস্ত রজনী জাগিয়া কাটাইলেন।
রাত্রি ৩টার সময় বাতাসের বেগ অত্যন্ত প্রবল হইল। নলবনের উপর বেলুন ভাসিতেছিল। প্রতিমুহূর্ত্তেই নলের আঘাত লাগিতে লাগিল। বেলুনের তখন একটী মাত্র আবরণ ছিল। কোনক্রমে ছিন্ন হইলেই সর্বনাশ! ফার্গুসন্ বলিলেন—
“ডিক্, এখানে আর থাকা যায় না। বেলুন ছাড়।”
“জো যে থাকলো!”
“আমি তাকে ছেড়ে যাব না। যদি এই ঝড়ে আমি একশ’ মাইল উত্তরেও চলে’ যাই, তা’ হ’লেও আবার ফিরব। এখানে থাকলে যে বেলুন পর্য্যন্তও যাবে।”
কেনেডি বেলুনের নোঙ্গরটা টানিয়া তুলিতে চেষ্টা করিলেন, পারিলেন না। উহা নড়িল না। বায়ুতাড়িত বেলুনের টানে