পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

টানে নোঙ্গরটী এত দৃঢ়রূপে ভূপ্রোথিত হইয়াছিল যে, উহা উঠিল না। ফার্গুসন্ দড়ি কাটিয়া দিলেন। বেলুন এক লম্ফে ভূমি হইতে ৩০০ ফিট উপরে উঠিয়া উত্তরদিকে ছুটিতে লাগিল। বায়ুপ্রবাহ ফিরাইবার সাধ্য ফার্গুসনের ছিল না। তিনি নীরবে বসিয়া রহিলেন।

 কেনেডি বলিলেন—

 “ফার্গুসন্ ফিরতেই হ’বে।”

 “নিশ্চয়। বেলুন ছেড়ে যদি পদব্রজেও চ্যাড-হ্রদের কাছে আসতে হয়, তা’ও স্বীকার —তবুও ফিরতে হ’বে।”

 “আমি ছায়ার মত তোমার অনুবর্ত্তী হ’ব। আমাদের জন্য জো আত্মবলি দিয়েছে—আমরাও তার জন্য তাই করব।”

 ঝড় এমন প্রবল হইয়াছিল যে, বেলুন গুণমুক্ত সায়কের ন্যায় বোনাদ্-উল্-জেরিদ নামক মরুভূমির উপর দিয়া যাইতেছিল। এ প্রদেশে সর্ব্বদাই ঝড় হয়—তখনো হইতেছিল। দেখিতে দেখিতে বৃক্ষলতাদির চিহ্ন বিলুপ্ত হইয়া গেল।

 ফার্গুসন্ বলিলেন—

 “ডিক্, প্রকৃতির পরিহাস দেখ! আর আমাদের নামার উপায় নাই, আমারও উপায় নাই—যেতেই হ’বে। যতদূর চক্ষু চলে, সব বালু—নীরস—তপ্ত—জ্বালাময়! আমরা সাহারা মরুভূমির উপর দিয়ে চলেছি।”

 ফার্গুসন্ যখন এইরূপে হতাশ হৃদয়ে কেনেডির সহিত কথা কহিতেছিলেন, তখন দেখিলেন, মরুভূমির উত্তর দিকে বালুকারাশি