পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
১৯

 একদিন তিনি কহিলেন, “নীল নদীর জন্মস্থান আবিষ্কার করে’ কি লাভ হ'বে ভাই? এতে কি মনুষ্য— সমাজের কোনো উপকার হ’বে? মনে কর, এমনি করে’ না হয় আফ্রিকার অসভ্য জাতিগুলিকে সুসভ্যই করে’ তোলা গেল, তাতেই বা লাভ কি? ইউরোপীয় সভ্যতাই যে আদর্শ সভ্যতা তা' কে বলেছে? আফ্রিকার সভ্যতাই যে ভাল নয়, তারই বা প্রমাণ কি?

 ফাগুসন্ কোনো উত্তর দিলেন না। ডিক্ বলিতে লাগিলেন, “এমন দিন নিশ্চয়ই আসবে, যে দিন অতি সহজে আফ্রিকার যেখানে সেখানে যাওয়া যাবে। ছ' মাস হোক্, ন' মাস হোক, একজন না এক জন আবিষ্কারক তোমাদের লক্ষ্য স্থলে যাবেই যাবে। অনেকেই ত নীল নদীর উৎপত্তি-স্থান দেখতে বেরিয়েছেন, তবে আর তোমার এত তাড়াতাড়ি কি?”

 “আর একজন সেই আবিষ্কারের গৌরবটা গ্রহণ করবে, এটা কি ভাল ডিক্? ভীরুর মত নানা রকম আপত্তি তুলে' তুমি কি আমাদের সেই গৌরবের জয়মাল্য থেকে বঞ্চিত করতে চাও?

 “কিন্তু”

 “তুমি কি বুঝতে পারছ না যে, যাঁরা এখন আফ্রিকা পর্য্যটন করে’ বেড়াচ্ছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে সে দেশে যাবেন—আমাদের ভ্রমণ-কাহিনী তাঁদের কত উপকারে আসবে।

 “কিন্তু—”