পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

তা’ না-ই বা থাকলো—আমরা ঐ ঝক্‌ঝকে নক্ষত্রলোকে একবার বেড়াতে যাব।”

 জো কহিল “নক্ষত্রলোকে? ও সব গ্রহ-নক্ষত্রের কথা আমি ঢের জানি। আমরা একবার স্যাটার্নটা দেখতে যাব ভাবচি।”

 “স্যাটার্ণ কোনটা? ওই যার চারিদিকে একটা গোলাকার আংটী আছে!”

 “ওকে আমরা কি বলি জান? বিয়ের আংটী, কিন্তু স্যাটার্ণের স্ত্রীর কখনো কোনো খোঁজ-খবর পাইনি।”

 “আপনারা অত উঁচুতে যাবেন? আপনার মুনিব তা’ হ’লে দেখচি একজন দৈত্যবিশেষ।”

 “বল কি? দৈত্য? তাঁর মত ভাল মানুষ কি আর আছে?”

 “আচ্ছা স্যাটার্ণ থেকে আপনারা কোথায় যাবেন?”

 “কেন তারপর জুপিটারে। সে দেশ বড় সুন্দর। সেখানকার দিনগুলো মোট  / ঘণ্টা! অলস যারা তাদের বড় সুবিধা সেখানে—কেমন নয়? সেখানকার এক একটা বৎসর আমাদের ১২ বৎসরের সমান। এখানে মনে কর যারা আর ছ’ মাসের মধ্যেই মরবে, তারা যদি সেখানে যায়, তা’ হ’লে আরো কিছুদিন বেঁচে যেতে পারে।”

 একটি বালক ভৃত্য অতি নিবিষ্ট চিত্তে নক্ষত্রলোকের কাহিনী শুনিতেছিল। সে আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া কহিল।

 “বার বছরে এক বছর!”