পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
৩৭

দশ হাতে বেলুনকে আলিঙ্গন করে’ ধরে’ রেখেছে। বেলুন তাই এক হাতও নড়তে পারে না। জলের স্রোত একদিকে চলে—বাতাস চলে নানাদিকে। ভূপৃষ্ঠেই পর্ব্বত গহ্বর প্রান্তর কন্দর-নির্ম্মক্ত মরুভূমি বা নিবিড় বনশ্রেণীর অবস্থান। বাতাসের স্রোত তাই শত স্থানে শত বাধা পেয়ে নানাদিকে ফিরে ঘুরে নানা পথে চলে। অন্তরীক্ষে এ সব উৎপাত নাই। অনন্ত উদার নীলাকাশ বাধাবন্ধহীন। তাই যতই উপরে যাওয়া যায় বায়ুপ্রবাহেও ততই একটা সমতা লক্ষিত হয়। উপরের বায়ুস্রোত কদাচিৎ দিক পরিবর্ত্তন করে। আকাশপথে কোন্ স্থানে বাতাসের গতি কিরূপ সেটা ঠিক করতে পারলেই আর চিন্তা নাই—বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে আবশ্যক সেই স্তরে বেলুনকে ছেড়ে দিলেই হ’লো।”

 জাহাজের অধ্যক্ষ কহিলেন, “বাতাসের কোন্ বিশেষ স্তরটী আপনার চাই, সেটা খুঁজতে হ’লে আপনাকে ত অনেকবার উঠা-নামা করতে হ’বে। আর যতবার নামবেন ততবারই খানিকটা করে’ গ্যাস ছেড়ে দিতে হ’বে। আবার উপরে উঠতে হ’লে ভার ফেলে দিয়ে বেলুনকে হালকা করে’ নিতে হ’বে!”

 “এইবার আপনি আসল কথাটা ধরেছেন। বেলুনকে চালানো শক্ত নয়—কিন্তু গ্যাস রক্ষা করাই শক্ত।”

 “আজ পর্য্যন্তও এ সমস্যার মীমাংসা হয় নাই।”

 “হয়েছে বৈ কি!”

 “হয়েছে? কে করেছে?”