পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ
৪৭

বিচরণ করিতেছে। তাহারা প্রথমে ভয়ে এবং শেষে ক্রোধে চীৎকার করিতে লাগিল। তাহাদিগের সুদৃঢ় কার্ম্মুক হইতে মুহুর্মুহুঃ বিষবাণ নিক্ষিপ্ত হইয়া আকাশ ছাইয়া ফেলিল। কিন্তু ভিক্টোরিয়া অনেক উপর দিয়া যাইতেছিল বলিয়া কাফ্রির শর বৃথা গেল। ডাক্তার ইহাদিগের জন্য তিলমাত্র চিন্তিত হইলেন না। পর্যটক বার্টন্ এবং স্পিকের যাত্রাপথ অনুসরণ করিয়া অগ্রসর হইতে পারিতেছেন বলিয়া তিনি প্রফুল্ল হইলেন।

 কেনেডি পুলকিত হইয়া কহিলেন, “কি সুন্দর যান! এর কাছে ঘোড়ার গাড়ী!”

 জো কহিল, “ঘোড়ার গাড়ী ত দূরের কথা— ষ্টীমারেও কি কখনো এত আনন্দ হয়?”

 ডাক্তার বলিলেন, “আমি ত রেল অপেক্ষা বেলুনে যেতেই বেশী পছন্দ করি। রেল হু হু করে’ চলে’ যায়—যে দেশের ভিতর দিয়ে যায় তা’র কিছুই দেখা ঘটে না।”

 জো অল্পকাল মধ্যেই কিছু আহার্য্য প্রস্তুত করিল। তিনজনে সেই মহাশূন্যে আনন্দে আহার করিতে করিতে অগ্রসর হইলেন। ক্রমেই তাঁহারা উর্বর ভূমির উপর দিয়া যাইতে লাগিলেন। দেখিলেন নিম্নে শীর্ণকায় দীর্ঘ পথ আঁকিয়া বাঁকিয়া বিস্তৃত রহিয়াছে। অদূরে তামাক, ভূট্টা, ছোলা প্রভৃতির ক্ষেত্র ফলে পত্রে সুশোভিত হইয়া রহিয়াছে। স্থানে স্থানে সুবিস্তৃত ধান্যক্ষেত্র নয়নের তৃপ্তি সাধন করিতেছে। ধান্যক্ষেত্র সমুদ্রের ন্যায়