বিস্তৃত—পবন-স্পর্শে ধান্যশীর্ষ দুলিতেছে—ধান্যক্ষেত্র তরঙ্গায়িত হইতেছে। তাঁহারা যখনই কোন গ্রামের উপর দিয়া যাইতে লাগিলেন, তখনই গ্রামবাসীরা দৈত্য মনে করিয়া তাঁহাদিগকে আক্রমণ করিতে লাগিল। তাহাদিগের বিকট চীৎকারে অন্তরীক্ষ পর্য্যন্ত আলোড়িত হইতে লাগিল। ফার্গুসন্ বেলুনটীকে অপেক্ষাকৃত উচ্চে রক্ষা করিলেন। শত্রুর গুণমুক্ত তীর বেলুন স্পর্শ করিতে পারিল না।
বেলা দ্বিপ্রহর হইল। সূর্যকিরণ প্রখর বলিয়া অনুভূত হইতে লাগিল। নির্ম্মল আকাশতলে ভিক্টোরিয়া নির্বিঘ্নে ভাসিয়া যাইতে লাগিল। তাঁহারা আউজ্রামো প্রদেশ অতিক্রম করিলেন।
ডাক্তার কহিলেন, “দেখ দেশের মূর্ত্তি কেমন পরিবর্ত্তিত হ’য়ে যাচ্ছে। এখন আর অত ঘন ঘন গ্রাম দেখা যাচ্ছে না, আম্রবণও আর চোখে পড়ছে না। এই খানেই বোধ হয় আফ্রিকার অরণ্যের শেষ। ভূপৃষ্ঠ ক্রমেই কঙ্করময় প্রস্তরবহুল বলে’ বোধ হচ্ছে। বোধ হয় নিকটেই কোথাও শৈলমালা আছে।”
চারিদিক ভাল করিয়া দেখিয়া কেনেডি কহিলেন “আমার বোধ হচ্ছে পশ্চিম দিকের ওই মেঘমালা আর কিছুই নয়, উন্নত শৈলশ্রেণী।”
'ফার্গুসন্ দূরবীক্ষণ লইয়া দেখিলেন। দেখিয়া কহিলেন, “তুমি ঠিক বলেছ ডিক। ওগুলি আউরিজারা শৈলমালা।