পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

চূর্ণ হ’য়ে যায় । এ দেশে এমন কতকগুলি পোকা মাকড় আছে যে, যতই কেন মোটা কাপড় পর না, সে সব ভেদ করে’ তারা তোমাকে কামড়াবেই কামড়াবে। উঃ সে দংশনের কি দুঃসহ জ্বালা! মানুষ যেন পাগল হয়। তা’ ছাড়া হিংস্র পশু,আরণ্য মনুষ্য—এ সব ত আছেই! এ অঞ্চলে যাঁরা ভ্রমণ করে’ গেছেন তাঁদের কাহিনী যদি পড়, তা’ হ’লে চোখের জল রাখতে পারবে না!”

তখন অদূরে বহু উচ্চে রুবেহো শৈলমালা দেখা যাইতেছিল। আফ্রিকার ভাষায় রুবেহো অর্থে বাতাসের গতি বুঝায়। এই পর্ব্বতমালা এত উচ্চ যে, বায়ুপ্রবাহ এখানে প্রতিবাহিত হ’য়ে অন্য দিকে ধাবিত হয়। ফার্গুসন্ কহিলেন, “হুসিয়ার, আমরা রুবেহো পর্ব্বতের আতি নিকটে এসেছি। পর্ব্বতাশখর ছেড়ে অনেকটা উঁচু দিয়ে যেতে হ’বে।” বেলুনের গ্যাস উত্তপ্ত হইয়া ক্রমেই বিস্তার লাভ করিতে লাগিল, বেলুন ক্রমেই উপরে উঠিতে আরম্ভ করিল। কেনেডি জিজ্ঞাসা করিলেন,

 “এত উপরে কি বেশীক্ষণ থাকা চলে?”

 “বেলুন বড় হ’লে খুব উপরেও যাওয়া যেতে পারে। পর্য্যটক ব্রিয়োসি এবং গেফুসাকের নাম কি শোন নি? তাঁরা এত উপরে উঠেছিলেন যে, কান দিয়ে নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। আমরা এখন প্রায় ছ’হাজার ফিট উঠেছি। দেখছ না কোন জিনিষ আর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না।”

 বাতাস প্রবল বেগে বহিতেছিল। ভিক্টোরিয়া অল্পকাল