বনের মধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং অল্পক্ষণ মধ্যেই অব্যর্থ-সন্ধান কেনেডির গুলি একটী মৃগের বক্ষ ভেদ করিয়া দিল। তখন জো মৃগমাংস দগ্ধ করিতে করিতে কহিলেন—
“আমার মনটা বড় অস্থির হয়েছে।”
“কেন?”
“ভয় হচ্ছে, আমরা ফিরে যেয়ে যদি বেলুন দেখতে না পাই।”
“পাগল আর কি! তুমি কি মনে কর ফার্গুসন্ আমাদের এখানে ফেলেই চলে’ যাবে?”
“না তা’ নয়। মনে করুন যদি কোন কারণে নোঙ্গরটা খুলে যায়।”
“সেটা সম্ভব নয়—অমন শক্ত করে বাঁধা আছে। আর ধরই না যদি খুলে যায়, ফার্গুসন্ ইচ্ছা করলেই নামতে পারবে।”
“নামতে পারবেন—তা’ ঠিক। কিন্তু যদি প্রবল বাতাসে বেলুনটা ভাসিয়ে নিয়ে যায়—তা’ হ’লে ত আর তিনি এদিকে ফিরতে পারবেন না।”
“ও সব অশুভ কথায় কাজ নাই—”
বাধা দিয়া জো কহিল, “সকল বিপদের জন্যই প্রস্তুত থাকতে হয়।”
কেনেডি চমকিয়া কহিলেন, “ওই না ফার্গুসনের বন্দুকের শব্দ?”
“হাঁ তাই ত! বুঝি কোন বিপদ্ ঘটেছে!”