জো আর কাল বিলম্ব করিল না। দগ্ধ মাংসখণ্ডগুলি ক্ষিপ্রহস্তে সংগ্রহ করিয়া উর্দ্ধশ্বাসে ভিক্টোরিয়ার দিকে ছুটিল। কেনেডিও দৌড়াইলেন। ঘন বন—তাঁহারা বেলুন দেখিতে পাইতেছিলেন না। আবার বন্দুকের শব্দ হইল। তাঁহারা আরও দ্রুত দৌড়াইলেন। কাননপ্রান্তে উপস্থিত হইয়াই দেখিলেন, বেলুন স্থানভ্রষ্ট হয় নাই। কেনেডি তখন বিস্মিত হইয়া কহিলেন,
“ব্যাপার কি! বেলুন ত ঠিকই আছে।”
ইতস্ততঃ চাহিয়া জো বলিয়া উঠিল “সর্বনাশ!”
“কি! কি! কি হয়েছে?”
“ওই দেখুন কাফ্রিরা এসে বেলুন আক্রমণ করেছে।”
ভিক্টোরিয়া তখনো অনেক দূর ছিল। তাঁহারা দেখিলেন প্রায় ৩০টী প্রাণী উহার তলদেশে নৃত্য করিতেছে—চীৎকার করিতেছে—অঙ্গভঙ্গী করিতেছে। কেহ বা বৃক্ষের উপর আরোহণ করিয়া সর্বোচ্চ শাখায় উঠিয়াছে। এমন সময় আবার বন্দুকের শব্দ হইল। তাঁহারা দেখিলেন আক্রমণ-কারীদিগের মধ্যে যে বেলুনের বন্ধনরজ্জু বাহিয়া উপরে উঠিতেছিল, সে আহত হইয়া পড়িতে পড়িতে ভূমি হইতে প্রায় ১০।১২ হস্ত উপরে বৃক্ষশাখায় ঝুলিয়া রহিল।
জো কহিল, “কি আশ্চর্য্য, কাফ্রিটা পড়ছে না কেন—গুলি বুঝি লাগে নাই।”
পরক্ষণেই সে উচ্চহাস্য করিয়া কহিল “দেখেছেন ওটা