ধনাঢ্য বণিক্গণ পুত্র-কলত্র ও কৃতদাস লইয়া তথায় সুখে স্বচ্ছন্দে বাস করিত। ইহারাই আফ্রিকার অন্তর্বাণিজ্যে লিপ্ত হইয়া জীবিকা অর্জ্জন করিত। কেহ কেহ বা পণ্যাদি লইয়া আরবে পর্য্যন্তও গমন করিত।
অকস্মাৎ সেই কোলাহলচঞ্চল বিপণী নীরব হইল। ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই ঊদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিয়া কুটীর মধ্যে আশ্রয় লইল—পণ্য পৃষ্ঠে করিয়া অশ্ব গর্দভ বা খচ্চর মুক্ত প্রান্তরে পড়িয়া রহিল। সকলেই বিস্মিত হইয়া দেখিল কি একটা বিরাট পদার্থ স্বর্গ হইতে ধীরে ধীরে নামিয়া আসিতেছে।
ভিক্টোরিয়া ক্রমেই নিম্নে আসিল। শেষে একটী বৃহৎ বৃক্ষের শাখায় নোঙ্গর আবদ্ধ করা হইল। নাগরিকগণ সশঙ্কচিত্তে একে একে, দুইয়ে দুইয়ে অদূরে সমবেত হইতে লাগিল । কেহ বা যাদুমন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগিল। কেহ বা যোদ্ধার ন্যায় দৃঢ় মুষ্টিতে অস্ত্র ধারণ করিল। কেহ বণিক্—পণ্যসম্ভার রক্ষায় নিযুক্ত হইল। স্ত্রীলোক বালক বৃদ্ধ সকলেই বিস্মিত হইয়া বেলুন ও বেলুনযাত্রীদিগকে দেখিতে লাগিল। দামামাগুলি বিপুল নিনাদে বাজিয়া উঠিল। নাগরিকগণ শেষে উর্দ্ধে হস্ত উত্তোলন করিয়া নবাগত যাত্রীদিগকে সম্মান প্রদর্শন করিতে লাগিল।
ফার্গুসন্ বলিলেন, “ওই দেখ ওরা আমাদের পূজা করছে। ওদের পূজা-পদ্ধতিই এই রকম।”
অকস্মাৎ একজন যাদুকরের নির্দেশে বাদ্যধ্বনি থামিয়া