এসেছিলেন। তাঁরা লিখে গেছেন যে, এরা খুব যত্ন করে’ অতিথি সৎকার করেছিল।”
“তুমি যেয়ে কি করবে?”
“একটু ঔষধ সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি।” এই বলিয়া ফার্গুসন সেই চঞ্চল জনসঙ্ঘকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন—
“সুলতানের উপর চন্দ্রের দয়া হয়েছে; চল, পথ দেখাও।”
মুহূর্ত্তমধ্যে চতুর্দ্দিকে বিপুল উল্লাসের চিহ্ন দেখা গেল। চীৎকার, গীত-বাদ্য প্রভৃতি মুহূর্ত্তে সেই নীরব স্থানকে ধ্বনিত করিয়া তুলিল। নাগরিকগণ পিপীলিকাশ্রেণীবৎ অগ্রসর হইল।
ফার্গুসন্ বন্ধুকে কহিলেন, “যে কোন বিপদ্ মুহূর্ত্তে আসতে পারে। চক্ষের নিমেষে যাতে আমরা যেতে পারি তা’র জন্য প্রস্তুত থাক। তুমি গ্যাস-নলে অল্পে অল্পে তাপ দাও যেন বেলুন নিমেষে বহু উচ্চে উঠতে পারে। নোঙ্গরটা শক্ত করে’ই বাঁধা আছে—গ্যাস উত্তপ্ত হ’বে বলে’ ভয় নাই। জো নীচে নেমে যাও। তুমি মইটার কাছে থাকবে।”
কেনেডি কহিলেন, “ফার্গুসন, সেই বুড়ো কাফ্রিটাকে দেখতে তুমি তবে একাই যাবে?”
জো কাতর কণ্ঠে কহিল, “আমাকেও কি সঙ্গে নেবেন না?” “আমি একাই যাই। আমার জন্য ভেব না। তোমরা ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আমার উপদেশ মত সব ঠিক রাখ।”
কাফ্রিদিগের চীৎকার ক্রমেই উচ্চ হইতে উচ্চতর হইতেছিল। তাহারা যেন ক্রমেই অধৈর্য্য হইতে লাগিল। ফার্গুসন্