পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ
৬১

আর বিলম্ব না করিয়া ঔষধের বাক্সটী লইয়া বেলুন হইতে অবতরণ করিলেন। রাজ-কুটীর নগর হইতে একটু দূরে অবস্থিত ছিল বেলা তখন ৩টা বাজিয়াছিল। ফার্গুসন্ গম্ভীর পাদবিক্ষেপে চলিতে লাগিলেন। কিছুদূর অগ্রসর হইতে না হইতেই সুলতানের পুত্র আসিয়া তাঁহাকে ভূলুণ্ঠিত হইয়া প্রণাম করিল। ফার্গুসন্ ললিত অঙ্গভঙ্গী করিয়া তাহাকে ভূমিতল হইতে উঠিতে বলিলেন।

 শোভাযাত্রা ছায়াচ্ছন্ন পথে ঘুরিতে ঘুরিতে অবশেষে রাজপুরীর নিকটবর্ত্তী হইল। উহা শৈলপার্শ্বে নির্ম্মিত। গৃহপ্রাচীর রক্তাভ মৃত্তিকায় চিত্রিত সর্প ও মনুষ্যের মূর্ত্তিতে সুশোভিত। গৃহের ছাদ প্রাচীরের উপর ন্যস্ত ছিল বলিয়া গৃহমধ্যে উপর দিয়া বাতাস খেলিতেছিল। কক্ষমধ্যে বায়ুপ্রবেশের আর অন্যপথ ছিল না।

 রাজরক্ষিগণ, রাজপরিষদবর্গ এবং রাজাত্মীয়গণ ও সমবেত জনমণ্ডলী ফার্গুসন্কে সসম্মানে অভ্যর্থনা করিল। তিনি দেখিলেন তাহাদিগের কেশদাম বেণীর ন্যায় অংসোপরি পতিত হইয়া দুলিতেছে। গণ্ডদেশ কালো লাল প্রভৃতি বিভিন্ন বর্ণে রঞ্জিত। তাহাদিগের কর্ণ অতি বৃহৎ। সেই বৃহৎ কর্ণের ছিদ্রে কাষ্ঠের চাকতি ঝুলিতেছে। উজ্জ্বলবর্ণের বসন পরিধান করিয়া কেহ বা সসম্ভ্রমে দূরে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। সৈনিকগণ তীক্ষ্ণ বিষবাণ এবং অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র তরবারি লইয়া সগর্ব্বে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। কাহারো বক্র দীর্ঘ তরবারি এবং