ফার্গুসন্ আর অপেক্ষা না করিয়া ত্বরিতপদে কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন।
জো এতক্ষণ পর্য্যন্ত বেলুনের রজ্জু-মইয়ের নিকট অবস্থিত থাকিয়া কৌতূহলী কাফ্রিদিগের নিকট দেবপূজা লাভ করিতেছিল। যুবতীরা তাহাকে ঘিরিয়া নৃত্য করিতে লাগিল। কেহ বা গান গাহিতে আরম্ভ করিল। স্বর্গের নৃত্য নরলোকে দেখাইবার মানসে জো-ও সেই তালে তালে নাচিতে লাগিল। তাহার হস্তভঙ্গী, চরণবিক্ষেপ, মুখভঙ্গী ও অঙ্গসঞ্চালন দেখিয়া কাফ্রিগণ মনে করিল আহা! স্বর্গের নৃত্য কি সুন্দর! তাহারাও জো'র অনুকরণ করিয়া নৃত্য করিতে লাগিল।
অকস্মাৎ চতুর্দ্দিকে ভীষণ কোলাহল শ্রুত হইল। জো দেখিল নাগরিকগণ ও যাদুকরগণ উত্তেজিত হইয়া উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করিতে করিতে বেলুনের দিকে অগ্রসর হইতেছে। ফার্গুসন্ সকলের অগ্রে অতিশয় ক্ষিপ্রচরণে আগমন করিতেছেন। জো প্রমাদ গণিল।
ফার্গুসন্ ও জো অবিলম্বে বেলুনে উঠিলেন। কুসংস্কারসঞ্জাত ভীতি সেই উত্তেজিত নাগরিকদিগকে তখনো বেলুন হইতে দূরে রাখিয়াছিল। কেনেডি ব্যগ্র হইয়া কহিলেন—
“ফার্গুসন্ ব্যাপার কি? সুলতান মরেছে না কি?”
“না মরে নাই। ডিক্, আর মুহূর্ত্ত বিলম্ব নয়— নোঙ্গর খোলার আর সময় নাই—বেলুন ছাড়—নোঙ্গর কেটে দাও।”
“কেন? হয়েছে কি?”