লইল। রাত্রি নয়টার সময় দেখা গেল বেলুন আর চলিতেছেই না।
উদ্বিগ্ন হইয়া ফার্গুসন্ কহিলেন, “ডিক্, ঝড় ত আসবেই, এখন কি করি?”
জো বলিল, “এখনো মেঘ উঁচুতে আছে, আমার মনে হয় আজ রাত্রে ঝড় হ’বে না।”
“মেঘেরই চেহারা ভাল নয়। হয়ত ঘূর্ণী বাতাসও হ’তে পারে। তা’ হ’লে দেখছি এই মহাশূন্যে আমাদের বন্ বন্ করে’ ঘুরতে হ’বে। মেঘে বিদ্যুৎ ভরা। বেলুনে আগুনও লেগে যেতে পারে! যদি গাছের সঙ্গে নোঙ্গর বাঁধি, তা’ হ’লে বাতাসের বেগে হয় ত গাছের উপরই আছাড় খেয়ে পড়বো!”
ভিক্টোরিয়া তখন মেনে হ্রদের উপর নিশ্চল ভাবে অবস্থান করিতেছিল। নিকটবর্ত্তী গ্রামসমূহ মৃতবৎ সুপ্ত বলিয়া মনে হইতে লাগিল। সেই বিপুল অন্ধকার ভেদ করিয়া কদাচিৎ দুই একটা আলোকরশ্মি হ্রদের মধ্যে জলের সহিত ক্রীড়া করিতেছিল।
কেনেডি চিন্তিত হইয়া কহিলেন, “তবে উপায়?”
“ভিক্টোরিয়াকে এখন মাঝামাঝি পথে রাখতে হ’বে। তোমরা ঘুমাও। আমিই জেগে আছি।”
“আমরাও তোমার সঙ্গে সঙ্গে জেগে থাকি। কি জানি হঠাৎ যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়।”