পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ
৭১

 জো কহিল “এখনো তো কোনো বিপদ্ আসে নাই, আমি বেলুন পাহারা দি—আপনারা বিশ্রাম করুন।”

 ফার্গুসন্ তাহাতে স্বীকৃত হইলেন না। বলিলেন, “আমাকে পাহারা দিতেই হ’বে। তোমরা নিদ্রা যাও। আবশ্যক হ’লেই ডেকে তুলবো।”

 কেনেডি এবং জো শয়ন করিলেন, ফার্গুসন্ একাকী প্রহরার কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন। অল্পক্ষণ পর ঊর্দ্ধে সঞ্চিত মেঘরাশি ধীরে ধীরে নিম্নে নামিতে লাগিল। অন্ধকার আরও গভীর হইয়া উঠিল। আঁধার—আঁধার—আঁধার! সূচীভেদ্য অন্ধকারে বিশ্ব ছাইল। ফার্গুসন্ আরো চিন্তিত হইলেন।

 অকস্মাৎ আকাশের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত বিদ্যুৎ ঝলসিল। সঙ্গে সঙ্গে বিপুল গর্জ্জনে দিঙ্মণ্ডল কম্পিত হইয়া উঠিল।

 ফার্গুসন্ ডাকিলেন, “ওঠো—হুসিয়ার হও।”

 কেনেডি ত্রস্তে শয্যা ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “আমরা কি তবে বেলুন ছেড়ে নিচে নামবো?”

 “না—না—তা’ হ’লে বেলুন টিকবে না, ঝড় বৃষ্টি সঙ্গে নিয়ে মেঘ নামতে না নামতে চল আমরা উপরে উঠি।”

 ফার্গুসন্ অবিলম্বে গ্যাস-নলে তাপ দিতে আরম্ভ করিলেন। আবার বিদ্যুৎ খেলিল। আবার গভীর শব্দে মেঘ ডাকিল। ঐ আবার—ঐ আবার—ঐ আবার! মুহূর্ত্তে ২01২৫ বার বিদ্যুৎ জ্বলিল-গগন বিদীর্ণ করিয়া বিপুল নিনাদে