পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

মেঘ গর্জ্জিল! পর্য্যটকগণ প্রমাদ গণিলেন। বৃষ্টি নামিল—মুষলধারে বৃষ্টি। এক একটা ফোঁটা যেন শিলার ন্যায় পতিত হইতে লাগিল। সমস্ত আকাশ জুড়িয়া দারুণ অগ্নিকাণ্ড উপস্থিত হইল!

 ফার্গুসন্ বলিলেন,“আমাদের অনেক আগেই উপরে যাওয়া উচিত ছিল। এখন দেখছি এই অগ্নিস্তর ভেদ করে’ উঠতে হ’বে। বেলুন ত দাহ্য পদার্থে পরিপূর্ণ—মুহূর্ত্তে আগুন ধরে’ যেতে পারে—”

 “তবে চল ফার্গুসন্, নামি।”

 “তা’তে কি ভাই বজ্রাঘাতের ভয় যাবে? গাছের ডালে লেগে কেবল বেলুনটা ছিঁড়বে।”

 অবিলম্বে ভীম বেগে বায়ু বহিতে লাগিল। মনে হইতে লাগিল যেন সেই ঘনকৃষ্ণ মেঘরাশি বায়ুতাড়িত হইয়া কেবল অগ্নি উদ্গীরণ করিতেছে। বেলুন ক্রমে উর্দ্ধে উঠিতে লাগিল। কখনো ঘুরিতে আরম্ভ করিল—কখনো বা ঘুরিতে ঘুরিতে ঊর্দ্ধে উঠিতে লাগিল, বাতাস প্রবলবেগে বেলুনগাত্রে প্রহত হইয়া ফিরিতে লাগিল। বোধ হইল যেন বেলুনের সে রেশমের আবরণ এখনই ছিন্ন হইয়া যাইবে। উহা দমিতে লাগিল—কুঞ্চিত হইতে লাগিল—স্থানে স্থানে চাপিয়া বসিতে লাগিল! তখন শিলাবৃষ্টি আরম্ভ হইল। ফার্গুসন্ তখনো গ্যাসে তাপ দিতেছিলেন—ভিক্টোরিয়া তখনো উপরে উঠিতেছিল। বেলুনের ঊর্দ্ধে নিম্নে দক্ষিণে