যদি আবশ্যক হয়, নোঙ্গর করে’ এখানেই সুবাতাসের অপেক্ষা করা যাবে।”
সত্বরেই ফার্গুসনের আশা পূর্ণ হইল। তিনি যে বায়ুপ্রবাহের সন্ধানে ফিরিতেছিলেন, তাহা মিলিল। ভিক্টোরিয়া দ্রুতগতি অগ্রসর হইল। ফার্গুসন্ হৃষ্টচিত্তে বলিলেন, “আমরা এখন ঠিক পথেই চলেছি। বেশ হয়েছে। এই অপরিজ্ঞাত জনপদটা দেখতে দেখতে যাওয়া যাবে।”
“আমরা কি দীর্ঘকাল ধরে’ এমনি করে উড়ে উড়েই যাব?”
“ডিক্, নীল নদীর জন্মস্থান ত দেখতেই হ’বে। সেই তীর্থদর্শনের জন্যই ত আমাদের এত আয়োজন। আমার বোধ হয়, আরো ছয় শ’ মাইল যেতে হ’বে।”
“তা’ যাও না-ছয় শ’ কেন ছ’ হাজার মাইল চল না। কিন্তু ধরার ধূলায় দু’একবার কি নামবে না? হাত পা সব আড়ষ্ট হয়ে গেল!”
ফার্গুসন্ হাসিয়া বলিলেন, “নামতে ত হ’বেই, হাওয়ায় ত পেট ভরে না—রসদ সংগ্রহ করা চাই। তোমার হাতে বন্দুক, আর কাননপথে নিঃশঙ্ক বন্যপশু। কিছু মাংসের যোগাড় হবে না?”
“কেন হবে না? আমি ত প্রস্তুত।”
“কিছু জলও নিতে হ’বে।”
দ্বিপ্রহর কালে বেলুম কতকগুলি গ্রাম অতিক্রম করিয়া