“নোঙ্গরটা বুঝি খুলে গেছে।”
জো রজ্জু ধরিয়া টানিয়া কহিল, “না—খোলে নাই।”
“তবে কি পাহাড়টাই চলছে?”
নিম্নের তৃণরাশি তখন যেন মথিত হইতেছিল। অকস্মাৎ জো দেখিল তাহার মধ্যে কি যেন একটা নড়িয়া উঠিল। সে ভীত কণ্ঠে কহিল, “বাপরে! প্রকাণ্ড সাপ!”
কেনেডি বন্দুক তুলিলেন। কহিলেন, “সাপ! কৈ দেখি।” ফার্গুসন্ বলিলেন, “সাপ নয়—সাপ নয়—হাতীর শুঁড়!”
“হাতী?” কেনেডি পুনরায় লক্ষ্য করিয়া বন্দুক উঠাইলেন।
“ডিক্, থাম থাম। একটু অপেক্ষা কর।”
“হাতীটা যে আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে!”
“ভয় কি তাতে। আমরা যেদিকে যাব, সেই দিকেই ত নিয়ে যাচ্ছে।”
হস্তী দ্রুতবেগে অগ্রসর হইল এবং সত্বরেই তৃণের বন পার হইয়া একটি পরিচ্ছন্ন স্থানে আসিয়া উপনীত হইল। ফার্গুসন্ দেখিলেন উহার শ্বেত দত্তদ্বয় প্রায় পাঁচ হস্ত পরিমিত দীর্ঘ, তাহাদের মধ্যে নোঙ্গরটী বাধিয়া গিয়াছে!
নোঙ্গর খুলিয়া ফেলিবার জন্য হস্তী নানারূপ চেষ্টা করিল। শুণ্ড আস্ফালন করিতে লাগিল। কিন্তু নোঙ্গর খুলিল না।
জো হি হি করিয়া হাসিতে লাগিল। বলিল, “এ অবাার