পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
৮১

ভিক্টোরিয়া রুবেমি-পর্ব্বত-শৃঙ্গ অতিক্রম করিয়া কারাগোয়া শৈলমালার প্রথম পর্ব্বত টেঙ্গার সমীপবর্ত্তী হইল। প্রাচীন কাহিনী পাঠে ফার্গুসন্ জানিয়াছিলেন যে, কারাগোয়া শৈলমালাই নীল নদীর প্রথম ক্রীড়া-ক্ষেত্র। তাঁহার মনে হইতে লাগিল এ কাহিনী সত্য, কারণ এই সকল পর্ব্বতই ইউকেরিউ হ্রদ পরিবেষ্টিত করিয়া রাখিয়াছে। আরো কিছুদূর অগ্রসর হইতেই ফার্গুসনের বোধ হইল যেন দূরে দিগ্বলয়ের নিকটে সেই বিশ্ববিশ্রুত হ্রদের উজ্জল বারিরাশি দেখা যাইতেছে!

 ফার্গুসন্ বিশেষ মনোযোগ সহকারে সেই প্রদেশ পর্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। তিনি দেখিলেন চরণনিম্নে অনুর্বর ক্ষেত্র। কয়েকটা গিরিসঙ্কটে সামান্য কিছু শস্য জন্মিয়াছে। ক্রমেই উচ্চভূমি পর্বত-শিখরবৎ ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে।

 দেখিতে দেখিতে কারাগোয়ার প্রধান নগর নিকটবর্ত্তী হইল। ৫০ খানি কুটীর লইয়া নগর। পীত ও পিঙ্গল বর্ণের কাফ্রিগণ বিস্মিত হইয়া ভিক্টোরিয়ার দিকে চাহিয়া রহিল। সে দেশের রমণীগণ অস্বাভাবিক রূপে স্থূলাঙ্গী। তাহারা কোন প্রকারে আপন আপন স্থূল দেহ বহন করিয়া উপনিবেশ মধ্যে ভ্রমণ করিতেছিল। ফার্গুসন্ সঙ্গীদিগকে কহিলেন, “স্থূলাঙ্গই এ দেশের রমণী-কুলের লাবণ্যের লক্ষণ। রমণীদিগকে স্থূলাঙ্গী করিবার নিমিত্ত এক প্রকার ঘোল পান করিতে দেওয়া হয়।”

 বেলুন ভিক্টোরিয়া-নায়াঞ্জা হ্রদের নিকট দিয়া উত্তরদিকে যাইতেছিল। পর্য্যটকগণ দেখিলেন সেদিকে জন-মানবের চিহ্ন