পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
রেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

পর্য্যন্তও নাই। হ্রদের তীর কণ্টকবনে সমাকীর্ণ। কোটী কোটী পিঙ্গল বর্ণের মশক সেই সকল কণ্টক বৃক্ষ ও লতাদি আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে। শত শত সিন্ধুঘোটক হ্রদের মধ্যে ক্রীড়া করিতেছে। হ্রদ পশ্চিমদিকে সমুদ্রতুল্য বিস্তৃত।

 সন্ধ্যা-সমাগমে ফার্গুসন্ একটী দ্বীপের উপর নোঙ্গর করিয়া বলিলেন, “এই হ্রদের মধ্যে যে সকল দ্বীপ দেখা যাচ্ছে, সে সমস্তই হ্রদগর্ভস্থ পর্ব্বতের চূড়া। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা একটা পাথরের গায়ে নোঙ্গর বাঁধতে পেরেছি। হ্রদের তীরে যে সকল জাতি বাস করে, তারা বন্য পশুর চেয়েও হিংস্র। এখন তোমরা নির্বিবাদে নিদ্রা যাও রাত্রে আর কোনো বিপদের আশঙ্কা দেখছিনে।”

 কেনেডি বলিলেন, “তুমি ঘুমুবে না?”

 “আমার ঘুম আসরে না ডিক্। চিন্তায় আমার মস্তিষ্ক আলোড়িত হচ্ছে। যদি সুবাতাস পাই, তা’ হ’লে নিশ্চয় কালই নীল নদীর জন্মক্ষেত্র দেখতে পাব। যে তীর্থ দর্শন করতে বেরিয়েছি, তার সিংহদ্বারের নিকট এসে কি আর আমার ঘুম আসবে।”

 কেনেডি এবং জো নীল নদীর জন্মস্থান দেখিবার জন্য কিছুমাত্র ব্যস্ত ছিলেন না। ফার্গুসনকে প্রহরী কার্য্যে নিযুক্ত করিয়া তাঁহারা স্বচ্ছন্দে নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন।

 ভোর চারিটার সময় বেলুন আবার চলিতে লাগিল। বাতাস তখন প্রবল বেগে উত্তর মুখে বহিতেছিল। বেলুন