কেনেডি বলিলেন, “এটা যে সত্যই নীল নদী তার প্রমাণ কি?”
“তার অভ্রান্ত প্রমাণ আছে।”
“এখানে অবতরণ করা সম্ভব হ’বে না। ওই দেখ কাফ্রিরা বেলুন দেখে কেমন কুপিত হয়েছে।”
“তা’ হো’ক্। আমাকে নামতেই হ’বে।”
“এখানে নামলে বিপদ্ ঘটিতে পারে।”
“যদি ঘটে, তার উপায় নাই। যদি বন্দুকের মুখে শত্রু তাড়িয়েও নামতে হয়, তাও স্বীকার।”
ফার্গুসন্ বেলুনকে ঊর্দ্ধে তুলিলেন। ২৫০০ ফিট উপরে উঠিয়া তাঁহারা দেখিলেন যে, চতুদ্দিক্ হইতে শত সহস্র ক্ষুদ্রশরীরা তরঙ্গিণী আসিয়া নীল নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। তাহাদের অধিকাংশই পশ্চিমদিকের শৈলমালা হইতে বহির্গত হইয়াছে। ফাগুসন্ মানচিত্র আলোচনা করিয়া বলিলেন “উত্তর থেকে যাঁরা এ দিকে এসেছিলেন, আমরা এখনো তাঁদের আবিষ্কৃত স্থানে যেতে পারিনি। গণ্ডরোকা এখান থেকে ৯০ মাইল হ’বে। এখন ধীরে ধারে নামা যাক। তোমরা সাবধান হও।”
বেলুন নামিতে লাগিল। এখানে নীল নদীর বিস্তার অধিক ছিল না। পার্শ্ববর্ত্তী গ্রামসমূহের অধিবাসিগণ বেলুনকে একটা দৈত্য মনে করিয়া চঞ্চল হইয়া উঠিল। ফার্গুসন্ দেখিলেন অল্প দূরেই নীল নদী ৭/৮ হস্ত মাত্র গভীর জল-ধারা বহিয়া অগ্রসর হইয়াছে।