সেই সকল নরদেহ লইয়া টানাটানি করিতেছে। ফার্গুসন্ বলিলেন—
“ওই যে নরকঙ্কাল দেখছ, ও সমস্তই দণ্ডিত অপরাধীদের শেষ চিহ্ন। বন্দীদের ধরে’ এনে বনে ছেড়ে দেয়। অমনি হিংস্র পশুরা এসে তাদের আক্রমণ করে। আফ্রিকার দক্ষিণাংশে কি করে জান? অপরাধীদের ধরে’ একটা ঘরে বন্ধ করে। তারপর তাদের স্ত্রী পুত্র পরিবার—এমন কি পালিত পশুপক্ষী পর্য্যন্ত সেই ঘরের ভিতর বন্ধ করে’ আগুন জ্বালিয়ে দেয়।”
কেনেডি বলিলেন, “কি নিষ্ঠুর প্রথা! এও ফাঁসীর মতই নৃশংস ব্যাপার।”
জো এতক্ষণ নীরবে আকাশের দিকে চাহিয়াছিল। কতকগুলি পক্ষী দেখাইয়া বিস্ময়ের সহিত কহিল—“ওগুলো কি পাখী? কত উপরে উঠছে দেখুন।”
কেনেডি দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়া দেখিয়া কহিলেন— “ও সবই ঈগল পাখী। কি সুন্দর পাখী। আমারাও যেদিকে যাচ্ছি ঈগলও সেই দিকেই যাচ্ছে।”
ফার্গুসন্ ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “ভগবান্ যেন ওদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করেন। নরমাংসভুক্ কাফ্রিদের হাতে পড়লেও আমাদের তত চিন্তার কারণ নাই। কিন্তু ঈগলের কাছে আমাদের নিস্তার নাই, ডিক্!”
“পাগল আর কি!” হাসিয়া কেনেডি বলিলেন, “পাগল আর কি! আমাদের হাতে বন্দুক থাকতে আবার ভয়!”