কেনেডি বন্দুক উঠাইলেন।
বাধা দিয়া ডাক্তার বলিলেন, “থাম ডিক্, থাম, তুমি খুব শিকারী তা’ জানি। ঈগলের ঠোট কত ধারালো তা’ জান? একবার ঠোকর দিলেই বেলুন ছিঁড়ে যাবে।”
জো হাসিয়া কহিল, “বেলুনের সঙ্গে কতকগুলো ঈগল পাখী বেঁধে দিলে হয়। আমাদের টেনে নিয়ে যেতে পারে।”
জো’র কথা শুনিয়া ফার্গুসন্ এবং কেনেডি উভয়ে হাস্য করিয়া উঠিলেন। কেনেডি বলিলেন—
“তোমার প্রস্তাবটা বেশ ভাল বটে, কিন্তু ঈগল কি আর পোষ মানবে!”
“মান্বে না? শিখিয়ে নিতে হ’বে। ঘোড়ার যেমন লাগাম থাকে, তার বদলে ঈগলের চোখে ঠুলি দিয়ে দিলেই হয়। যখন যে চোখ খোলা থাকবে, ঈগল নিশ্চয়ই সেই দিকে যাবে।”
যখন এইরূপ কথাবার্ত্তা হইতেছিল তখন বেলা প্রায় দ্বিপ্রহর হইয়াছিল। বাতাস মৃদু ছিল বলিয়া ভিক্টোরিয়া অপেক্ষাকৃত ধীরে ধীরে যাইতেছিল। হঠাৎ বংশীধ্বনি শ্রুত হইল। সকলে বিস্মিত হইয়া নিম্নে চাহিয়া দেখিল, দুই দলে ভীষণ যুদ্ধ হইতেছে। উভয় পক্ষের শরজালে তখন আকাশ সমাচ্ছন্ন হইয়াছিল। যুদ্ধে মত্ত ছিল বলিয়া কাফ্রিগণ বেলুন দেখিতে পাইয়াছিল না। বেলুনের উপর দৃষ্টি পতিত হইবা মাত্র কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধ থামিয়া গেল। চীৎকার প্রবল হইল। অবিলম্বে বেলুন লক্ষ্য করিয়া তীর নিক্ষিপ্ত হইল। একটা তীর