বেলুনের এত নিকটে আসিয়াছিল যে, জো ক্ষিপ্র করে উহা ধরিয়া ফেলিল।
ফার্গুসন্ বলিলেন—“চল আরো উপরে উঠি। যুদ্ধ দেখতে যেয়ে নিজেদের সর্ব্বনাশ ঘটা’তে পারি না।”
তখন পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছিল। পূর্ববৎ শোণিতস্রোত ছুটিতেছিল। একজনের অস্ত্রাঘাতে পূর্ব্ববৎ অপরের ছিন্নশির ভূতলে পড়িতেছিল। একজন ধরাশায়ী হইবামাত্র তাহার শত্রু আসিয়া শির কাটিয়া লইতেছিল। রমণীগণও যুদ্ধে যোগ দিয়াছিল। তাহারা সেই সকল ছিন্নশির আহরণ করিয়া সমর-প্রাঙ্গণের উভয় পার্শ্বে রক্ষা করিতেছিল। একজন অপরের নিকট হইতে ছিন্ন নরশির সবলে কাড়িয়া লইতেছিল। আবশ্যক হইলে তাহার জন্য অস্ত্রাঘাত করিতেও কুণ্ঠিত হইতেছিল না।
কেনেডি কহিলেন—“কি ভয়ানক দৃশ্য!”
ফার্গুসন্ বলিলেন—“ওদের যদি একটা করে’ পোষাক থাকতো, তা’ হ'লে এই অসভ্য কাফ্রি আর অন্য দেশের সুসভ্য সৈনিকের মধ্যে প্রভেদ কোথায়?”
বন্দুক তুলিয়া কেনেডি বলিলেন, “আমার ইচ্ছা হচ্ছে যুদ্ধে বাধা দি।”
বাধা দিয়া ফার্গুসন্ বলিলেন—“সে সবে কাজ নাই ডিক্। এস, আমরা নিজের পথ দেখি। এ দৃশ্য—এ নরহত্যা—আর দেখা যায় না। যারা যুদ্ধ-ব্যবসায়ী, তারা যদি এমনি করে’