বেলুনে উঠে’ নরহত্যা দেখতো, তা হ’লে বোধ হয় তাদের শোণিত-তৃষ্ণা, রাজ্যজয়ের স্পৃহা সবই মুহূর্ত্তে দূর হ’য়ে যেত।”
যুদ্ধরত দুই দলেরই নেতা ছিল। তাহাদের মধ্যে একজন অতিশয় বলশালী ও স্থুল। যে দিকে শত্রুসংখ্যা অধিক, সে ক্ষিপ্ত হস্তে সেই দিকেই তীক্ষ্ণ বর্শা চালিত করিতেছিল এবং অপর হস্তে ক্ষুরধার কুঠারের আঘাতে শত্রু নিপাত করিতেছিল। কখনো বা রুধিরাক্ত দেহে আহত শত্রুর উপর পতিত হইয়া কুঠারের আঘাতে তাহার বাহু ছিন্ন করিয়া সে সগর্ব্বে চর্ব্বণ করিতে লাগিল।
কেনেডি এই দৃশ্য দেখিয়া বলিয়আ উঠিলেন—”রাক্ষস! রাক্ষস! ওই দেখ ফার্গুসন্! মানুষ খাচ্ছে!”
তন্মুহূর্ত্তেই কেনেডির বন্দুকের গুলিতে সেই নরখাদক সর্দ্দারের মস্তক বিচূর্ণিত হইয়া গেল।
অকস্মাৎ সর্দ্দারকে নিহত হইতে দেখিয়া যোদ্ধাদিগের বিস্ময়ের পরিসীমা রহিল না। বিপক্ষদলের উৎসাহ ও উত্তেজনা আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইল। অপর পক্ষ ভয়ে পলায়ন করিতে লাগিল।
ফার্গুসন্ তখন বেলুন লইয়া উর্দ্ধে উঠিতেছিলেন। উঠিতে উঠিতে দেখিলেন বিজয়িগণ অপর পক্ষের আহত ও নিহত যোদ্ধৃগণের হস্ত পদ প্রভৃতি লইয়া নিজেদের মধ্যেই বিবাদ বাধাইয়াছে এবং রুধিরসিক্ত নরদেহ পরমানন্দে ভক্ষণ করিতেছে।