এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ





“রক্ষা কর, রক্ষা কর”
রজনী ভীষণ অন্ধকার। কিছুই নয়নগোচর হইতেছিল না। ফার্গুসন্ একটী বৃক্ষ-শিরে বেলুন আবদ্ধ করিলেন!
রাত্রি বারটার সময় যখন কেনেডি শয্যা ত্যাগ করিয়া প্রহরীর কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন তখন ফার্গুসন্ কহিলেন—
“ডিক্, বেশ সাবধানে থাক—বড় অন্ধকার।”
“কেন? কিছু বিপদের আশঙ্কা আছে কি?”
“এখনো কিছু নাই বটে—কিন্তু হ’তে কতক্ষণ! আমার বোধ হয়, কি একটা গুণ্ গুণ্ ধ্বনি হচ্ছে। বাতাসে আমাদের কোথায় যে টেনে এনেছে অন্ধকারে তা’ কিছুই বুঝতে পাচ্ছিনে।”
“ও সব কিছু নয়। বোধ হয় বন্যপশুর দূরাগত হুঙ্কার মাত্র।”
“তা’ যা’ হোক—খুব সাবধানেই পাহারা দিও। সামান্য শঙ্কার কারণ দেখলেই আনার ডেকে তুলো।”
“আচ্ছা। তুমি নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাও।”