পাতা:বেল্লিক রামায়ণ - কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেল্লিক রামায়ণ।

গভীর নিনাদে যত সুকণ্ঠী গর্দ্দভ।
এককালে আনন্দেতে কৈল সবে রব॥
কি কব সে রব-কথা কহিতে লোমাঞ্চ।
কোটি বজ্রপাতধ্বনি নিন্দিত বরঞ্চ॥
শিশুর ক্রন্দন তারি সঙ্গেতে মিলিত।
সুধার সমুদ্র আহা যেন উথলিত॥
ট্যাঁ ট্যাঁ করি কাঁদে শিশু কাঁপে বসুন্ধরা।
থুড়ি!—আনন্দেতে নৃত্য করে তাহে ধরা॥
বলে পৃথ্বী,—“আহা মরি, কে ভক্ত জন্মিল।
নির্ব্বাণ-মুকতি বুঝি এতদিনে হ’ল॥
এখনি উদ্ধার আমি হইব নিশ্চয়।
পাতার পরম পদে হ’ব গিয়া লয়॥
দেহধারণের কষ্ট হবে না সহিতে।
হবে না আর ত কষ্ট কোনমতে পেতে।
জন্মিয়াছে শক্র মোর যতেক যেথায়।
আর না পারিবে কেহ ঠেকাইতে দায়॥
হবে না কাহারে আর মুখ দেখিবারে।
কে আর পারিবে বল মোরে জ্বালাবারে?
দেহ থাকিলেই তাহে আছয়ে যন্ত্রণা।
দেহ গেলে কোন্ দায় আর বা বল না।
ভাগ্যেতে বেল্লিকে পেটে ধরিলাম আমি।
তেঁই এতদিনে মুখ চান্ অন্তর্যামী।”