পাতা:বেল্লিক রামায়ণ - কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বেল্লিক রামায়ণ।

পরেতে শৃগাল এই করিল বিচার।
হরিণ খেটেছে বেশী ডগা হবে তার॥
শৃগাল খেটেছে কম অতএব গােড়া।
গােড়ায় কি আছে ছাই খালি ধূলো ঝাড়া॥
সহজে সরল মন হরিণ জাতের।
সহজে বুঝে না অত শত ফারফের॥
হাসি-মুখে সেই সে ডগেরি ভাগ লয়ে।
যায় ঘরে স্ত্রীরে তার দেখায় যে গিয়ে॥
দেখিয়ে স্ত্রী তার রেগে হয় ত আগুন।
“এতখানি দেহ তব বিন্দু নাহি গুণ॥
আকের গােড়ারে ফেলি আন কিনা ডগা
তােমার অদৃষ্টে দেখি আছে ভিক্ষে মাগা॥
সামান্য এটুকু যার নাহিক গেয়ান।
কি কোরে করিতে হয় ভাগ সে সমান॥
তেমন লােকের হয় মরণ মঙ্গল।
নতুবা কাজেতে তার আছেই গরল॥”
“যা হবার হয়ে গেছে” হরিণ কহিছে।
“আর নাহি অকারণ বােকে মর মিছে॥
এবার পুনশ্চ চাষ হইবে যখন।
নিশ্চয় গোড়ারি ভাগ করিব গ্রহণ॥
গোড়ার তরেতে কেন এত কিচিকিচি।
ভুল করিয়েই নয় ডগা লইয়াছি॥