এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
বেল্লিক রামায়ণ।
তেমতি নয়নাছুরি, ঘন ইথি উথি ঠারি,
ডাকে যত বখা মূর্খজনে।
কভু দেয় করতালি, কভু ডাকে আয় বলি,
শীষ দেয় কভু ঘন ঘন।
কভু বা দুর্দ্দিন ভেবে, কেহ ক্ষণকাল ভাবে,
মৌনভাবে পথ নিরীক্ষণ।
আবার যদ্যপি দেখে, কেহ তারে চেয়ে দেখে,
স্বর্গ যেন পায় অম্নি হাতে।
ইসারা করিয়ে তায়, গৃহমাঝে লয়ে যায়,
মাতে কত রঙ্গিল খেলাতে।
কোনও ঘরে তাস চলে, কেহ কেহ পাশা খেলে,
ছড়া কাটে কেহ—যেন কবি।
স্বর্গীয় পিতার নামে, কিরে করে মনে মনে,
সভ্যতা দেখাতে কোন বিবি।
হায় রে বিবির পিতা, হায় রে বাবুর পিতা,
কত পুণ্যে গেছ লােকান্তর।
নরম গরম কত, পেট ভােরে অবিরত,
খাও হেন তাই অতঃপর॥—
আহা, রঙকরা মুখে, রঙে গড়া রাঙ্গাচখে,
হােটেলের ভাল ভাল খানা।
যাহা এরা নিজে খায়, তাই তােমারে পাঠায়,
একটুকু বিলম্ব করে না।