পাতা:বেল্লিক রামায়ণ - কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেল্লিক রামায়ণ।
১০১

শুনিয়ে অবাক্ রাজা, চিন্তে মনে মন।
“হায় হায়, কি বিচার করিব এখন?
একদিন প্রাণে রক্ষা করেছে আমারে।
এবে ভ্রান্তিক্রমে বধ করিল কুমারে॥”
পরে ধীরে ধীরে এই বলিলেন তায়।
কেমন সে বেশ্যা তব দেখাও আমায়॥
যার তরে বধিলে হে কুমারে আমার।
দেখিব সুন্দরী সেই কেমন প্রকার॥”
এই কথা বলি পরে গাড়ীতে চড়িয়ে।
বরাবর উপনীত সেই বেশ্যালয়ে॥
দেখেই রাজারে সেই বেশ্যার নন্দিনী।
বুঝিল কি হেতু তথা যান নৃপমণি॥
গলে বস্ত্র দিয়া তবে প্রণিপাত করি।
কহিতে লাগিল সেই বেশ্যা ধীরি ধীরি॥—
“মহারাজ, যত দোষী আমি নিজ হতে।
ওই ব্যক্তি নহে লিপ্ত কিঞ্চিৎ দোষেতে॥
আমিই করেছি খুন পুত্রে আপনার।
কি হেতু ধরেন ওরে কি দোষ উহার?”
নৃপতি বলেন,“এ যে নিজে বলে আর।
তুমি পুনঃ এ আবার বল কি প্রকার?
কি কারণ নিজে হত্যা করিয়াছ বলো।
জান না কি হত্যাকারী কত দোষী ওলো?