এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
বেল্লিক রামায়ণ।
বৎসরমধ্যেই টাকা উড়িল বেবাক।
দুঃখিনী অভার পত্নী দেখেই অবাক্॥
বলে, “ও মা এ কি সর্ব্বনাশ গো করিলে।”
এমন করিয়ে মাথা কি হেতু খাইলে?”
উপায় চিন্তা।
বিষম বিভ্রাট ক্রমে পড়িল যে, হায়।
ভাবনা সদাই, হায়, কি হয় উপায়॥
দুঃখিনী অভার পত্নী, কাঁদিয়ে আকুল।
ভাবনা-সাগরে নাহি পায় ত সে কূল॥
বলে, “হায় বিধি এ কি লিখিলে কপালে।
এ কোন্ মূর্খের হাতে আমারে ঠেকালে॥
কিছু বুদ্ধি নাহি ঘটে, কি কোরে কি হয়।
কোন্ দুঃখে কর্ম্মত্যাগ করে দুরাশয়॥
মাস গেলে বিশখানি চাক্তি রূপার।
অনা’সে আসিতেছিল, কি ছিল চিন্তার॥
কেন হেন আহাম্মকি ত্যজিল চাকরী।
এখন কি দেবে পেটে, কি আছে তাহারি॥
এতগুলি বাছ্ কাছ্ কি খাইয়ে বাঁচে।
এক কড়াকড়ি আর নাহিক যে কাছে।