পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম দৃশ্য।

 কেদার। ওর নাম কি, অল্পক্ষণের আলাপ যদিচ তবু আমাকেও বড় মানে না দেখলুম। কিন্তু ওর কথাটা অপিনি কানে তোলেন নি। থাবার এসেছে!

 বৈকুণ্ঠ। তা হোক্‌, রাত হয় নি -এই অধ্যায়টা শেষ করে ফেলি।

 কেদার। বৈকুণ্ঠ বাবু, খাবার আপনার ঘরে আসে এবং সে বসেও থাকে - ওর নাম কি - আমাদের ঘরে তাঁর ব্যবহার অন্য রকমের। দেখুন যখন ছেলেবেলায় কালেজে পড়তুম তখন – ওর নাম কি - খুব উচ্চ মাচার উপরেই বিশালতা চড়িয়েছিলুম – তাতে বড় বড় লাউয়ের মত দেড় হাত দু হাত ফলও ঝুলে পড়ে ছিল — কিন্তু – কি বলে – গোড়ায় জল পেলে না - ভিতরে রস প্রবেশ করলে না - এর নাম কি - সব ফাঁপা হয়ে রইল। এখন্‌ কোথায় পয়সা কোথায় অন্ন, এই করেই মরচি! ভিতরে সার যা ছিল সব চুপ্‌সে — ওর নাম কি — শুকিয়ে গেল!

 বৈকুণ্ঠ। আহা হাহা! এত বড় দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারে না! অথচ সর্ব্বদাই প্রফুল্ল আছেন – আপনি মহানুভব ব্যক্তি! (কেদারের হাত চাপিয়া ধরিয়া) দেখুন আমার ক্ষুদ্র শক্তিতে যদি আপনার কোন সাহায্য করতে পারি খুলে বলবেন – কিছুমাত্র সঙ্কোচ–  কেদার। মাপ করবেন বৈকুণ্ঠ বাবু - ওর নাম কি – আমাকে টাকার প্রত্যাশী মনে করবেন না — আজ যে