পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম দৃশ্য।

খাওয়াতে ওঁর সামান্য অসুবিধে, না খেতে পেলে আমাদের অসুবিধে ঢের বেশি! ক্ষিধে পেয়েছে মশায়!

 বৈকুণ্ঠ। বেশ বাবা, তুমি পেট ভরে খেয়ে যাও! তৃপ্তির সঙ্গে খেতে দেখ্‌লে আমার বড় আনন্দ হয়!

 কেদার। এই ছোঁড়াটাকে ভগবান্—ওর নাম কি— অন্তরিন্দ্রিয়ের মধ্যে কেবল একটি জঠর দিয়েছেন মাত্র! আপনার এই আশ্রমটিতে এলে পেট বলে যে একটা গভীর গহ্বর আছে—কি বলে—সে কথা একেবারে ভুলে যেতে হয়। মনে হয় যেন কেবল একযোড়া হৃৎপিণ্ডের উপরে, ওর নাম কি, একখানি মুণ্ডু নিয়ে বসে আছি!

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহাঃ। আপনি বড় সুন্দর রস দিয়ে কথা বল্‌তে পারেন— বা, বা, আপনার চমৎকার ক্ষমতা!

 তিনকড়ি। কথায় মত্ত হয়ে প্রতিজ্ঞে ভুল্‌বেন না বৈকুণ্ঠবাবু! ক্ষিধে ক্রমেই বাড়চে!

 বৈকুণ্ঠ। বটে, বটে! ঈশেন, ঈশেন, একবার এই দিকে শুনে যাওত ঈশেন!

ঈশানের প্রবেশ।

 ঈশান। এক্‌টি ছিল, দুটি জুটেছে!

 তিনকড়ি। রেগো না দাদা, তোমাকেও ভাগ দেব!

 ঈশান। এখনো লেখা শোনানো চল্‌চে বুঝি!

 বৈকুণ্ঠ। (লজ্জিতভাবে খাতা আড়াল করিয়া) না, না,