লোক এলে তাদের দুমুঠো খেতে দিবিনে! হারামজাদা লক্ষ্মীছাড়া বেটা! বেরো তুই আমার ঘর থেকে—
তিনকড়ি। আহা রাগ করবেন না! আমি ঠাউরেছিলুম খাওয়াতে আপনার কোন অসুবিধে নেই— ঠিক বুঝ্তে পারিনি—একটু অসুবিধে আছে বৈ কি! এ লোকটিকে ইতিপূর্ব্বে দেখি নি—তা ছাড়া আপনার বুড়ো মা—
বৈকুণ্ঠ। না না সেটি আমার একমাত্র বিধবা মেয়ে, আমার নীরু, আমার মা নেই।
তিনকড়ি। মা নেই! ঠিক আমারি মত!
কেদার। বৈকুণ্ঠ বাবু—ওর নাম কি—আজ তবে উঠি— ঈশান-কোণে ঝড়ের লক্ষণ দেখা যাচ্চে!
তিনকড়ি। দাঁড়াও না যাবে কোথায়?— দেখুন বৈকুণ্ঠ বাবু লজ্জা পাবেন না—এই তিনকড়ের পোড়াকপালের আঁচ পেলে অন্নপূর্ণার হাঁড়ির তলা দুফাঁক হয়ে যায়। যা হোক্ আমার উপর সম্পূর্ণ ভার দিন্ আমি বড়বাজার থেকে আহারের যোগাড় করে আন্চি! আপনাকে আর কিছু দেখ্তে হবে না।
কেদার। (কৃত্রিম রোষে) দেখ্ তিনকড়ি! এত দিন—ওর নাম কি—আমার সহবাসে এবং দৃষ্টান্তে তোর এই—কী বলে—হেয় জঘন্য লুব্ধ প্রবৃত্তি ঘুচ্ল না! আজ থেকে—ওর নাম কি—তোর মুখ দর্শন করব না! (প্রস্থান।)