বৈকুণ্ঠ। (হাসিয়া) বল কি কেদার বাবু!
কেদার। সাধে বলি! ভুক্তভোগীর কথা! ওর নাম— শ্বশুর বাড়িতে শ্যালী অতি উত্তম জিনিষ— অমন জিনিষ আর হয় না—কিন্তু সেখান থেকে চ্যুত হয়ে হঠাৎ স্কন্ধের উপর এসে পড়লে, ওর নাম কি, সকলে সাম্লাতে পারে না!
বৈকুণ্ঠ। সামলাতে পারে না! হাহা হাহা!
কেদার। আজ্ঞে আমি ত পারচিনে! একে শ্যালী, তাতে নিখুঁৎসুন্দরী, তাতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছেন, ওর নাম কি ঘরে ত আর টেঁকা যায় না! চোখ মেলে চাইলে স্ত্রী ভাবে শ্যালীকে খুঁজচি, ওরনাম কি— চোখ বুজে থাকলে স্ত্রী ভাবে আমি শ্যালার ধ্যান করচি! কাশ্লে মনে করে কাশীর মধ্যে একটা অর্থ আছে— আবার, কি বলে ভাল— প্রাণপণে কাশি চেপে থাক্লে মনে করে তার অর্থ আরও সন্দেহজনক!
অবিনাশের প্রবেশ।
অবিনাশ। কি দাদা! খাবার ঠাণ্ডা হয়ে এল, এখনো লেখা নিয়ে বসে আছ!
বৈকুণ্ঠ। না, না, লেখাটেখা কিছু নয়, কেদার বাবুর সঙ্গে গল্প করচি।
অবিনাশ। তাইত,কেদার দেখ্চি! কি সর্ব্বনাশ! তুমি কোথা থেকে হে! দাদাকে পেয়ে বসেছ বুঝি!