কেদার। হাহাহাহাঃ! অবিনাশ, চিরকালই তুমি ছেলে মানুষ রয়ে গেলে হে!
অবিনাশ। দাদা, তোমার লেখা শোনাবার আর লোক পেলে না! শেষকালে কেদারকে ধরেছ? ও যে তোমাকে ধরলে আর ছাড়বে না!
বৈকুণ্ঠ। আঃ অবিনাশ—ছিঃ, কি বক্চ?
কেদার। বৈকুণ্ঠ বাবু আপনি ব্যস্ত হবেন না—ওর নাম কি— অবিনাশের সঙ্গে একক্লাসে পড়েছি —আমার সঙ্গে দেখা হলেই ওর আর ঠাট্টা ছাড়া কথা নেই!
অবিনাশ। তোমার ঠাট্টা যে আমার ঠাট্টার চেয়ে গুরুতর! এই সে দিন আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেলে আবার বুঝি দরকার পড়েছে তাই দাদার বই শুনতে এসেছ?
কেদার। ভাই অবিনাশ, ওর নামকি— এক এক সময় তোমার কথা শুনে হঠাৎ ভ্রম হয় যে, যা বল্চ বুঝি, সত্যিই বল্চ! কি জানি বৈকুণ্ঠ বাবু মনে ভাবতে পারেন যে, কি বলে ভাল—
বৈকুণ্ঠ। (ব্যস্ত হইয়া) না, না, কেদার বাবু! আমি কিছু মনে ভাব্চিনে! কিন্তু অবিনাশ, সত্যি কথা বল্তে কি তোমার ঠাট্টাগুলো কিছু রূঢ় হয়ে পড়চে! বন্ধুকেও—
অবিনাশ। আমি ত ঠাট্টা করচিনে—
বৈকুণ্ঠ। অ্যাঁ! ঠাট্টা নয়! অভদ্র কোথাকার। কেদার বাবু