পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম দৃশ্য।
২১

খাবার চাঙারি হস্তে তিনকড়ির প্রবেশ।

 তিনকড়ি। এই নাও বসে যাও— আমি পরিবেশন করচি।

 বৈকুণ্ঠ। তুমিও বসনা বাপু—পরিবেশনের ব্যবস্থা আমি করচি!

 তিনকড়ি। ব্যস্ত হবেন না মশায়— নিজে আগে খেয়ে নিয়েছি।

 কেদার। দূর্ লক্ষীছাড়া পেটুক!

 তিন। ভাই তিনকড়ের ভাগ্যে বিঘ্নি ঢের আছে বরাবর দেখে আস্চি। জন্মাবামাত্র দুধ খাবার জন্যে কান্না ধরলুম, তার ঠিক পূর্ব্বেই মা গেল মরে! ভাই সবুর করতে আমার সাহস হয় না!

 অবিনাশ। এ ছোকরাটিকে কোথায় যোগাড় করলে কেদার!

 কেদার। ওর নাম কি—দেশ দেশান্তর খুঁজ্তে হয় নি আপনি জুটেছে। এখন এঁকে থোব কোথায়— কি বলে ভাল—তাই খুঁজচি।

 অবিনাশ। দাদা তাহলে তুমি এখন খেতে যাও!

 বৈকুণ্ঠ। বিলক্ষণ! আগে এঁদের হোক্!

 কেদার। সে কি কথা বৈকুণ্ঠ বাবু—