এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
বৈকুণ্ঠের খাতা।
বৈকুণ্ঠ। কেদার বাবু, আপনি কিছু সঙ্কোচ করবেন না— খেতে দেখ্তে আমার বড় আনন্দ!
তিনকড়ি। বেশ ত আবার কাল দেখ্বেন! আমরা ত পালাচ্চিনে! কিছুতেই না!
কেদার। তিনকড়ে, বরঞ্চ তুই ঐ চাঙারিটা বাড়ি নিয়ে চল্। কি বলে— এঁদের আর কেন মিছে বিরক্ত করা।
তিন। আজ ত আর দরকার দেখিনে! আবার কাল আছে!
(অবিনাশের হাস্য)
বৈকুণ্ঠ। এ ছোকরাটি বেশ কথা কয়। একে আমার বড় ভাল লাগ্চে। কিন্তু আহারটা এই খানেই করতে হচ্চে সে আমি কিছুতেই ছাড়চিনে—
ঈশানের প্রবেশ।
ঈশান। বাবু!
বৈকুণ্ঠ। আরে শুনেছি, এই যে যাচ্চি! আপনার তাহলে যাবেন দেখ্চি! তবে আর ধরে রাখ্ব না।
তিনকড়ি। আজ্ঞে না, তাহলে বিপদে পড়বেন।
(বৈকুণ্ঠ অবিনাশ ও ঈশানের প্রস্থান।)
(কেদারের প্রতি) এই নে ভাই— টাকা কটা বেঁচেছে— এ জিনিষ আমার হাতে ঢেঁকে না।
কেদার। তোর বাবা তোর নাম দিয়েছে তিনকড়ি—