পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
২৭

 তিনকড়ি। ভয় কি দাদা, দুজন আছে— একটিকে তুমি নাও, একটি আমাকে দাও!

 বৈকুণ্ঠ। বেশ কথা বাবা, এস আমার ঘরে এস!

 কেদার। তিনকড়ে তুই আমাকে মাটি করলি!

 তিনকড়ি। সব্বাই বলে তুমিই আমাকে মাটি করেচ। (কাছে গিয়া) রাগ কর কেন দাদা—যে অবধি তোমাকে দেখেছি সেই অবধি আপন বাপ দাদা খুড়ো কাউকে দুচক্ষে দেখ্‌তে পারিনে! এত ভালবাসা!

 কেদার। বাজে বকিস্ কেন— তোর আবার বাপ দাদা কোথা!

 তিনকড়ি। বল্লে বিশ্বাস করবিনে কিন্তু আছে ভাই। ওতেত খরচও নেই মাহাত্মিও নেই— তিনকড়েরও বাপ দাদা থাকে— যদি আমার নিজে করে নিতে হত তবে কি আর থাক্‌ত? কখ্‌খন না!

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহাঃ। ছেলেটি বেশ কথা কয়! চল বাবা, আমার ঘরে চল।

(উভয়ের প্রস্থান) 

 অবিনাশ। খুব সংক্ষেপে লিখ্‌লুম, বুঝেছ কেদার—কেবল একটি লাইন—“দেবী পদতলে বিমুগ্ধ ভক্তের পূজোপহার।”

 কেদার। তা কোন কথাটিই বাদ দেওয়া হয় নি—দিব্যি হয়েছে— তবে আজ উঠি!