এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
২৯
কেদার। সেটা যদি খুব চট্ করে লেখা যায় ত সেইটেই ভাল!
অবিনাশ। কিন্তু রোস একটু ভেবে দেখি।
ঈশানের প্রবেশ।
ঈশান। খাবার ঠাণ্ডা হয়ে এল যে।
অবিনাশ। আচ্ছ। সে হবে এখন— তুই যা!
ঈশান। দিদি ঠাকরুণ বসে আছে—
অবিনাশ। আচ্ছ। আচ্ছা তুই এখন পালা
ঈশান। (কেদারের প্রতি) বড় বাবুর ত আহার নিদ্রা বন্ধ, আবার ছোট বাবুকেও ক্ষেপিয়ে তুলেছ?
কেদার। ভাই ঈশেন, যদিচ আমার নিমক খাওনা তবু— ওর নাম কি— আমার কথাটাও একবার ভেবে দেখো! তোমার বড় বাবু খুব বিস্তারিত করে লিখে থাকেন আর তোমার ছোট বাবু—কি বলে— অত্যন্ত সংক্ষেপেই লেখেন—কিন্তু আমার কপালক্রমে দুইই সমান হয়ে ওঠে। অবিনাশ, তোমার খাবার এসেছে— ওর নাম কি— আমি উঠি!
অবিনাশ। বিলক্ষণ! তুমিও খেয়ে যাও না। ঈশেন, বাবুর জন্যে খাবার ঠিক কর।
ঈশান। সময়মত বল না, এখন আমি খাবার ঠিক করি কোত্থেকে!