অবিনাশ। তোর মাথা থেকে! বেটা ভূত!
ঈশান। এও যে ঠিক বড় বাবুর মত হয়ে এল, আমাকে আর টিক্তে দিলে না।
অবিনাশ। এখানে “প্রণয়োপহার” লিখ্লে “দেবী" কথাটা বদ্লাতে হয়! দেবীর সঙ্গে প্রণয় হবে কি করে!
কেদার। কেন হবে না! তা হলে দেবতাগুলো— ওর নাম কি, বাঁচে কি করে? ভাই অবিনাশ, স্ত্রীজাতি স্বর্গে মর্ত্ত্যে পাতালে যেখানেই থাকুক্— ওর নাম কি— তাদের সঙ্গে প্রণয় হতে পারে—কি বলে ভাল— হয়েও থাকে। তুমি অত ভেবো না! (স্বগত) এখন ছাড়লে বাঁচি!
তিনকড়ির প্রবেশ।
তিনকড়ি। ও দাদা! তোমার বদল ভেঙ্গে নাও! তুমি সেখানে যাও, আমি বরঞ্চ এখানে একবার চেষ্টা করে দেখি।
কেদার। কেনরে কি হয়েছে!
তিনকড়ি। ওরে বাস্রে! সে কি খাতা! আমি তার মধ্যে সেঁধলে আমাকে আর খুঁটে পাওয়া যাবে না! সেইটে পড়তে দিয়ে বুড়ো কোথায় উঠে গেল— আমি ত এক দৌড়ে পালিয়ে এসেচি।
বৈকুণ্ঠের প্রবেশ।
বৈকুণ্ঠ। কি তিনকড়ি পালিয়ে এলে যে!