পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
৩১

 তিনকড়ি। আপনি অত বড় একখানা বই লিখ্‌লেন আর এইটুক বুঝ্‌লেন না!

 বৈকুণ্ঠ। কেদার বাবু, আপনি যদি একবার আসেন তাহলে—

 কেদার। চলুন! (স্বগত) রামে মারলেও মরব, রাবণে মারলেও মরব— কিন্তু অবিনাশের ঐ একটি লাইন নিয়ে ত আর পারিনে!

 অবিনাশ। কেদার তুমি যাও কোথায়! দাদা আমার সেই কাজটা!

 বৈকুণ্ঠ। (রাগিয়া উঠিয়া) দিন রাত্তির তোমার কাজ। কেদার বাবু ভদ্রলোক— ওঁকে একটু বিশ্রাম দেবে না। তোমাদের একটু বিবেচনা নেই! আসুন্ কেদার বাবু।

 কেদার। ওর নাম কি, চলুন্। (উভয়ের প্রস্থান)

 অবিনাশ। মনোরমা তোমার কে হন তিনকড়ি?

 তিনকড়ি। তিনি আমার দূর সম্পর্কে বোন হন কিন্তু সে পরিচয় প্রকাশ হলে তিনি ভারি লজ্জা পাবেন!

 অবিনাশ। তাঁর খুব লজ্জা।—না তিনকড়ি!

 তিনকড়ি। আমার সম্বন্ধে ভারি লজ্জা! কাউকে মুখ দেখাবার যো নেই!

 অবিনাশ। না, তোমার সম্বন্ধে বল্‌চিনে— আমার সম্বন্ধে! জান ত তিনকড়ি, আমার সঙ্গে তাঁর একটা সম্বন্ধ—

 তিনকড়ি। ওঃ বুঝেছি! তা ত হতেই পারে! আমার