পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
বৈকুণ্ঠের খাতা।

পাবেন— মলেও ফিরে আস্‌ব এম্‌নি সকলে সন্দেহ করে!

 কেদার। তিনকড়ে! ফের!

 তিনকড়ি। ভাই, আগে থাকতে বলে রাখাই ভাল— শেষকালে ওঁয়ারা কি মনে করবেন!

ঈশানের প্রবেশ।

 ঈশান। (অবিনাশ ও কেদারের প্রতি) বাবু, তোমাদের দুজনেরই খাবার জায়গা হয়েছে!

 তিন। আর আমাকে বুঝি ফাঁকি! জন্মাবামাত্র যার নিজের মা ফাঁকি দিরে মল, বন্ধুবা তার আর কি করবে! কিন্তু দাদা, তিনকড়ে তোমাকে ভাগ না দিয়ে খায় না!

 কেদার। তিনকড়ে, ফের!

 তিনকড়ি। তা যা ভাই, চট্‌ করে খেয়ে আর গে! দেরী করলে বড় লোভ হবে— মনে হবে ছত্রিশ ব্যঞ্জন লুঠ্‌চিস্!

 বৈকুণ্ঠ। সে কি কথা তিনকড়ি! তুমি না খেয়ে যাবে! সে কি হয়! ঈশেন!

 ঈশান। আমি জানিনে! আমি চল্লুম!

(প্রস্থান।)

 অবিনাশ। চলনা তিনকড়ি! একরকম করে হয়ে যাবে!

 তিনকড়ি। টানাটানি করে দরকার কি। আপনারা