পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় দৃশ্য।
৪১

এখন থেকে তোমার টাকা তুমিই রাখ না ভাই—আমি বুড়ো হয়ে গেলুম— হারিয়ে ফেলি কি ভুলেই যাই—আমার কি মনের ঠিক আছে!

 অবিনাশ। এ আবার কি নতুন কথা হল দাদা।

 বৈকুণ্ঠ। নতুন কথা নয় ভাই—তুমি বিয়ে থাওয়া করে সংসারী হয়েছ— আমি ত সন্যাসী মানুষ—

 অবিনাশ। তুমিই ত দাদা, আমার বিয়ে দিয়ে দিলে তাতেই যদি পর হয়ে থাকি, তবে থাক্— টাকা কড়ির কথা আর আমি বল্‌ব না! (প্রস্থান)

 বৈকুণ্ঠ। আহা অবু রাগ কোরো না— শোনো আমার কথাটা আহা শুনে যাও!—

(“ভাব্‌তে পারিনে পরের ভাবনা” গাহিতে

গাহিতে বিপিনের প্রবেশ।)

 বৈকুণ্ঠ। এই যে বেণী বাবু—

 বিপিন। আমার নাম বিপিন বিহারী।

 বৈকুণ্ঠ। হাঁহাঁ, বিপিন বাবু। আপনার বিছানায় ঐ যে বইগুলি রেখেচেন, ও গুলি পড়চেন বুঝি?

 বিপিন। নাঃ পড়িনে, বাজাই।

 বৈকুণ্ঠ। বাজান্? তা আপনাকে যদি বাঁয়া তব্‌লা, কি মৃদঙ্গ—

 বিপিন। সে ত আমার আসে না— আমি বই বাজাই।