পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
বৈকুণ্ঠের খাতা।

 বৈকুণ্ঠ। যা আর বকিস্‌নে ঈশেন—এখন যা— আমি সকল কথা একবার ভেবে দেখি!

 ঈশান। ভেবে দেখো! এখন যে কথাটা বল্‌তে এসেছিলুম বলে নিই। আমাদের ছোট মার খুড়ি না পিসি, না কে এক বুড়ি এসে দিদি ঠাকরুণকে যে দুঃখ দিচ্চে সে ত আমার আর সহ্য হয় না!

 বৈকুণ্ঠ। আমার নীরুমাকে! সে ত কারো কিছুতে থাকে না!

 ঈশান। তাঁকে ত দিনরাত্তির দাসীর মত খাটিয়ে মারচে— তার পরে আবার মাগী তোমার নামে খোঁটা দিয়ে তাঁকে বলে কি না যে, তুমি তোমার ছোট ভাইয়ের টাকায় গায়ে ফুঁ দিয়ে বড়মানুষী করে বেড়াচ্চ। মাগীর যদি দাঁত থাক্‌ত ত নোড়া দিয়ে ভেঙ্গে দিতুন না!

 বৈকুণ্ঠ। তা নীরু কি বলে?

 ঈশান। তিনি ত তাঁর বাপেরই মেয়ে—মুখখানি যেন ফুলের মত শুকিয়ে যায়—একটি কথা বলে না—

 বৈকুণ্ঠ। (কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া) একটা কথা আছে, যে সয় তারই জয়—

 ঈশান। সে কথাটা আমি ভাল বুঝিনে! আমি একবার ছোট বাবুকে—

 বৈকুণ্ঠ। খবরদার ঈশেন আমার মাথার দিব্যি দিয়ে বল্‌চি—অবিনাশকে কোন কথা বল্‌তে পারবিনে।